১। প্রতিষ্ঠানর নাম : মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন (সেফ হোম)।
২। প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের তারিখ : ২১ জুন ২০০৩।
৩। অনুমোদিত আসন সংখ্যা : ৫০ জন।
৪। প্রতিষ্ঠানের জমির পরিমাণ : ১.০৫ একর।
৫। বর্তমানে অবস্থানরত হেফাজতীর সংখ্যা : ১২১ জন (শিশু-৮ জন সহ)।
৬। মোট ভর্তিকৃত হেফাজতীর সংখ্যা : ২০৫৬ জন।
৭। পুর্নবাসিত হেফাজতীর সংখ্যা : ১৯৩৮ জন।
৮। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবল : কর্মকর্তা-০১ জন। (সমাজসেবা অধিতফতর)
কর্মচারী-০৮ জন। (সমাজসেবা অধিতফতর)
সিএসপিবি- ০৩ জন।
পুলিশ বিভাগ-১০ জন।
মহিলা আনসার-০৫ জন।
৯। প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় সেবা
বিনামুল্যে খাদ্য,বস্ত্র,চিকিৎসা,শিক্ষা,বিনোদনসহ নিরাপদে কেন্দ্রে অবস্থান করার সুবিধা।
নির্ধারিত শুনানীর দিনে নিরাপত্তার সাথে আদালতে হাজির হওয়া এবং ফেরত আসার সুবিধা।
দক্ষ জনশক্তি হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলার লক্ষ্যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুবিধা।
কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা সহায়তা।
কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সাধারণ শিক্ষার সুযোগ।
কেন্দ্রে অবস্থানকারী নিরাপদ হেফাজতীদের নামাজ/প্রার্থনা,সঙ্গীতচর্চা,খেলাধুলা,টিভি দেখা সহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের সুবিধা।
মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) ফরহাদাবাদ,হাটহাজারী,চট্টগ্রামের নিরাপদ হেফাজতীদের তথ্যাবলী
বর্তমান উপস্থিত হেফাজতীর সংখ্যা- ১১৩ জন + নবজাতক শিশু ০৮ জন সহ সর্বমোট = ১২১ জন।
অপরহরণ মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের ধারা-৭ = ২৮ জন
মানব পাচার মামলা ধারা-৫ = ২৭ জন
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা (ধর্ষণ মামলা) ধারা-৯(১) = ১১ জন
হত্যা মামলা ধারা-৩০২ = ০৪ জন
সাধারণ ডাইরী মুলে = ২৪ জন
প্রতিবন্ধী = ১৯ জন
-----------------------------------------
= ১১৩ জন।
নবজাতক শিশু = ০৮ জন।
--------------------------------------------------
সর্বমোট = ১২১ জন।
প্রতিবন্ধী - ১৯
বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী - ০৯ জন।
মানসিক রোগী - ০৭ জন।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী - ০৩ জন।
বয়স ভিত্তিক তথ্য-৮৭ জন।
০-১৮ = ৭৩ জন
১৮+ = ৪০ জন
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যাদিঃ
১. কেন্দ্রের চর্তুদিকে বাউন্ডারী ওয়াল নেই। এতে কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া ছাড়াও হেফাজতীদের নিরাপত্তা ও
গোপনীয়তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
২ সেফ হোমের উপস্থিত হেফাজতীর সংখ্যা-১২১ জন। ০৯ জন বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী,মানসিক রোগী ৭ জন ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৩ জন সহ সর্বমোট ১৯ জন প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে অবস্থান করছে।প্রতিবন্ধী অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যাপারে নির্দেশনা প্রয়োজন। এছাড়াও অভিবাবকহীন হেফাজতীরা দীর্ঘ দিন সেফ হোমে অবস্থান করার কারণে হতাশাগ্রস্ত থাকে।
৩. আবাসিক ভবন টিন সেড সেমিপাকা বিল্ডিংহওয়ায় হার্ডবোর্ডের সিলিং দেয়া হয়েছে। দুর্বল হার্ডবোর্ড ভেঙ্গে টিনের চালের ফাক দিয়েও হেফাজতীদের পালিয়ে যাওয়ার সব্ভাবনা রয়েছে।
৪. মহিলা আনসার অপর্যাপ্ত।ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী মাত্র ১ জন মহিলা আনসার দায়িত্ব পালন করে। যা অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য যথেস্ট নয়। মহিলা আনসারের সংখ্যা ৫ থেকে ১০ জনে উন্নীত করা যেতে পারে।
৫. বহিঃনিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ ফোর্স শুধুমাত্র তাদের গার্ড রোমে অবস্থান করে মুল ফটকে দায়িত্ব পালন করে। ফলে পিছনে নিরাপত্তার সুযোগ থাকে না। পুলিশ ফোর্সের সংখ্যা ৮ জন থেকে বাড়ানো হলে আবাসিক ভবনের পিছনে ডিউটি পোষ্ট দেয়া যাবে। যা সার্বিক নিরাপত্তায় সহায়ক হবে।
৬. নিরাপদ হেফাজতীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য কোন প্রশিক্ষক নেই। কারিগরী প্রশিক্ষণের জন্য ১ জন সেলাই প্রশিক্ষক থাকলে হেফাজতীদের দক্ষ জনশক্তি হিসাবে পুর্নবাসণ করা যাবে।
৭. প্রতিষ্ঠানে ডাক্তার,নার্স,ড্রাইভার,সুইপার পদে কোন জনবল নেই। ফলে সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ডাক্তার,নার্সের অভাবে হেফাজতীরা সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থে শূন্য পদ গুলি পূরণ করা জরুরী।
৮. প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কি.মি দুরে অবস্থিত। তাছাড়া বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলায় হেফাজতীদের বিচারাধীন মামলার শুনানীর জন্য বিভিন্ন আদালতে হাজির করতে হয়। ডাইভার না থাকায় এবং জ্বালানি খাতে বরাদ্দ না পাওয়ায় হেফাজতীদের বাসে আনা নেয়া সব সময় নিরাপদ নয়।
৯. কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বসবাসের জন্য কোন আবাসিক সুবিধা নেই।
১০. অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত মহিলা আনসারের সাথে মহিলা পুলিশ বা কারারক্ষী দরকার।
১১. নিরাপদ হেফাজতীদের আইনী সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড সাপোর্ট দরকার।