গ্রাম বাংলার চিরায়ত লোকজ ঐতিহ্য পিঠা-পুলি। শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। হাটহাজারীর ফরহাদাবাদস্থ মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন (সেফ হোম) এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানে অবস্থানরত আইনের সংস্পর্শে আসা প্রিয়জনের সান্নিধ্য বঞ্চিত হেফাজতী মহিলা ও শিশু-কিশোরীদের সেই পিঠা-পুলি স্বাদ দিতে অদ্য ৫ জানুয়ারী বুধবার আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসবের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘শীতকালীন পিঠা উৎসব ১৪২৮’ উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা মহোদয়। প্রতিষ্ঠানের উপতত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কাযার্লয়,চট্টগ্রামের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোহাম্মদ ওয়াহীদুল আলম মহোদয়। উৎসব মুখর পরিবেশে তৈরি হয় বাহারি নামের পিঠা। উৎসবে যোগ দেয় শতাধিক হেফাজতী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। পিঠার আকার-অবয়বেও ছিল বৈচিত্রতা। মুখশলা পিঠা, চাপড়ি পিঠা,গুলগুলা পিঠা,খেজুর পিঠা,ডিমের ঝাল পুয়া,ঝাল পাটিসাপটা,বিবিখানা পিঠা,কলা পিঠা,তিল পুলি,ম্যারা পিঠা, লবঙ্গ লতিকা,মুঠি পিঠা, ছিটরুটি,জামাই পিঠা,খোলাজা পিঠা, ডিমের বিস্কুট পিঠা,নারিকেল পুলি পিঠা,গোলাপ পিঠা,সুজির পিঠা, ডিমের পানতোয়া,ঝাল পানতোয়া,ঝুনঝুনি পিঠা,বিন্নি ভাত,মধু ভাত, দুধপুলি, রসপুলি,দুধরাজ,মালপোয়া,তেলপিঠা,গোলাপপিঠা,পুলিপিঠা,দুধপিঠা, ছিমপিঠা,গরগরিয়াপিঠা,ভাপাপিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা। বাহারি পিঠা খেয়ে শিশু-কিশোরী হেফাজতীরা ছিল আনন্দে মাতোয়ারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অফিস সহকারী মোঃ কামরুল হাসান,নার্স শিরিন ইসলাম,সমাজকর্মী লাভলী বড়ুয়া,রাজিয়া সুলতানা,ফাহমিদা খাতুন,শিল্পী আকতার,নুরুন্নাহার,কহিনুর বেগম,মানিক পোদ্দার ও নিপু দাশ প্রমুখ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস